ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে নৌ পুলিশ বদ্ধ পরিকর: অতিরিক্ত আইজিপি

Passenger Voice    |    ০১:২৩ পিএম, ২০২৪-০৪-০১


ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে নৌ পুলিশ বদ্ধ পরিকর: অতিরিক্ত আইজিপি

মোঃ জয়নাল আবেদীন:আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে নৌপথে শৃঙ্খলা ও নৌ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ মার্চ বুধবার বেলা এগারোটায় ঢাকা নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মতবিনিময় সভায় নৌ পুলিশ প্রধান বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ (বিপিএম) এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় নৌ পুলিশ প্রধান বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নৌ পথে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে রাখতে নৌ পুলিশ বদ্ধ পরিকর।ঈদে নৌ যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে নৌ পুলিশ সকল নৌ ঘাট, নৌ টার্মিনাল সমূহে দায়িত্ব পালন করবে।নৌ পথ নিরাপদ রাখতে যে সকল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়িত হবে।

তিনি বলেন, নৌ পুলিশ কর্মদক্ষতার মাধ্যমে নৌ পথে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।আমরা সেই আস্থার জায়গা সব সময় ধরে রাখতে চাই।নৌ পথে সকল ধরনের অপরাধ নির্মূলে নৌ পুলিশ অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে।নৌ পথে যেকোন সমস্যায় নৌ পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে নৌ পুলিশকে অবগত করলে নৌ পুলিশ সাথে সাথেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তিনি আরো বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে নৌ পথ ব্যবহারকারী প্রত্যেকেই যেন নিরাপদে তাদের পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশ সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, পবিত্র ঈদে নৌ পথ ব্যবহারকারী ঘরমুখো মানুষের যাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে নৌ পুলিশ আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল (২০২৪) পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।এছাড়া লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন থেকে বিরত থাকা,ছোট ও ক্রুটিপূর্ণ লঞ্চে যাত্রী পরিবহনে বিরত থাকতে হবে।লঞ্চে যাত্রী সংখ্যার আনুপাতিক হারে লাইফ জ্যাকেট,বয়া প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখা,আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌ যান চালানো,সূর্যাস্তের পর বাল্কহেড ও স্পিড বোট চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।এক্ষেত্রে ঈদ পূর্ববর্তী ৫ দিন এবং ঈদ পরবর্তী ৫ দিন সহ মোট ১১ দিন বাল্কহেড সরাসরি সম্পুর্ন বন্ধ রাখতে হবে।নৌ পথে চাঁদাবাজি ও চুরিসহ যেকোন হয়রানি বন্ধে বিশেষ নজরদারি রাখা,নৌ যান চলাচলের পথে মাছ শিকারের জন্য জাল বিছানো প্রতিরোধ করা,বৈধ কাগজপত্র বিহীন কোন নৌযান না চালানো,ন্যায্য মূল্যে ভাড়া আদায়ে তদারকি,টার্মিনাল ব্যতিত নদীর যে কোন জায়গায় ছোট নৌযানে যাত্রী উঠানো,নামানো বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া সকল নৌ যানে পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিং এবং সিসি ক্যামেরা ব্যবস্থা করতে হবে।

উক্ত মতবিনিময় সভায় বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি,বাঅনৌচ (যাপ) , লঞ্চ মালিক সমিতি, নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন, নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্ক হেড শ্রমিক ইউনিয়ন, লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশন বাঘা বাড়ি , সুন্দরবন নেভিগেশন সদর ঘাট, এমকে শিপিং লাইন্সসহ নৌ যান এবং নৌ পথের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, অতিরিক্ত ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ, ডিসি লালবাগ, ডিএমপি, নৌ অঞ্চলের সকল নৌ পুলিশ সুপার সহ নৌ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।